Parenting Tips :
অনেক সময় শিশুরা অনেক কিছুর জন্য বায়না করে, যা তাদের তখনই দেওয়া সম্ভব হয় না। এই সব ক্ষেত্রে সরাসরি 'না' অর্থাৎ নেগেটিভ কোনো কথা বলবেন না। যে কোনওরকম নেগেটিভ শব্দ শিশুর কোমল মনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে একটি শিশুকে যেমন আদর-যত্নে বড় করে তুলতে হয়, তেমনই তার এই কোমল মনেরও খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। শিশুমন অত্যন্ত নরম। সেখানে কোনও ভাবে আঘাত লাগলে তা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিশুকে কী বলবেন, কী ভাবে বলবেন, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা জরুরি বৈকি।
অনেক শিশুরই মুখের
প্রথম সচেতন বুলি ‘না’। বাবা মা সারাদিন এতবার ‘না না না’ বলেন যে শিশু সবার আগে এই
নেতিবাচক শব্দটাই শেখে।
আবার অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা অনেক কিছুর জন্য বায়না করে, যা তাদের তখনই দেওয়া সম্ভব হয় না। এই সব ক্ষেত্রে সরাসরি 'না' বলবেন না। যে কোনওরকম নেগেটিভ শব্দ শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সরাসরি 'না' না বলে আর যে ভাবে শিশুর মনকে অন্যদিকে ঘোরাতে পারবেন, তা দেখে নিন।
এক.
অনেক সময় শিশুরা কোন কিছুর জন্য জেদ করে তখন যদি আপনার মনে হয় যে আপনার শিশু যা চাইছে তা তাকে দেওয়া যেতেই পারে তবে এখনই না দিয়ে , তাকে বলুন, 'হ্যাঁ তুমি এটা পাবে তবে পরে'। যেমন, 'আগে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে নাও, তারপরে ক্যান্ডি পাবে।'
দুই.
সব শিশুরাই কৌতূহলী হয়। কৌতূহল শিশুকে বিভিন্ন কিছু শিখতে আগ্রহী রাখে এবং নতুন, অনিশ্চিত বা চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলোকে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আবার
অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা খুব জেদি হয়ে যায়। তারা যেটা চাইছে, তখনই না পেলে কান্নাকাটি শুরু করে। তাদের তখন 'না' না বলে বরং তাদের মন অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। অন্য কথা বলে বা অন্য কিছু দেখিয়ে তাদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত করে দিন।
তিন.
অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েরা ছুরি-কাঁচি বা অন্য কোনও বিপজ্জনক বস্তু নিয়ে খেলার বায়না করে। সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও খেলনা দিয়ে ভোলানো চেষ্টা করুন। তাদের বলুন যে ছুরি-কাঁচি না নিয়ে তুমি বরং এটা নিয়ে খেলো। সেই খেলায় আপনিও তার সঙ্গে যোগ দিন। খেলা জমে উঠলে বায়না ভুলতে শিশুর সময় লাগবে না।
শিশুর সাথে ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করে কথা বললে শিশুর নেতিবাচক সমস্যার সমাধান এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বাড়ে ৷ একটি শিশু যত ইতিবাচক কথা শুনবে তত তারা কী করতে পারবেনা সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে, তারা কী কী করতে পারবে সেসবে মনোযোগী হতে পারবে৷
খাবারটি ছুঁড়ে ফেলো না–না বলে বলুন, খাবারটি এখানে প্লেটের ওপরে রাখো। যে কোনো খাবার প্লেটের ওপরে রাখতে হয়। তারপরে এভাবে ধরে মুখে পুরে খাও
সুতরাং একজন সচেতন অভিবাবক হিসাবে বিষয়গুলো অত্যান্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে।
কারণ সন্তানের জীবনে বাবা-মা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাবা-মায়ের জীবনে সন্তান। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া যেমন একটি বিশাল দায়িত্ব, তেমনি এটি বিশেষ গর্ব ও আনন্দেরও।
0 Comments