🟢 কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত
'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ'
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনারা সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন । আজকের আর্টিকেলটি শুক্রবারের মর্যাদা ! ও জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম ।
বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)
মর্যাদাপূর্ণ এই দিনের অনেক আমল হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে-
✅ ১. গোসল করা।
✅ ২. উত্তম পোশাক পরিধান করা।
✅ ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
✅ ৪. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।
এই চারটি আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)
রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস : ৯২৯)
মসজিদে আগে যেসমস্ত মুসল্লিগণ যেতে পারেন তারাই সাধারণত ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসার সুযোগ পায়। প্রথম কাতারে বসার যে ফযিলত বর্ণিত হয়েছে তারাই সেই সৌভাগ্য অর্জন করে, আর ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসলে সব আলোচনা শোনা ও বোঝা সহজ হয়।
মর্যাদপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তিলওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)
এই দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। এই মর্মে রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ একটি আমল হচ্ছে দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)
ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসা
পায়ে হেটে দরুদ পড়তে পড়তে মসজিদে যাওয়ার ব্যপারেই মূলত ফজিলতগুলো বলা হয়েছে। তাই মসজিদে জুমার দিন পায়ে হেটে যাওয়া সুন্নত তবে কারো সমস্যা থাকলে অন্য ব্যপার।
- ✅ সালাত বা নামাজ পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কিত কুরআনের ৯ আয়াত ও ৬ হাদিস |
- ✅ কম্পিউটারে স্ক্রিন শট সহজে নেওয়ার উপায় !
- ✅ সূরা আর রহমান এর উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
- ✅ আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ
- ✅ কোরআন হাদিস থেকে নির্বাচিত ৮৭ টি দোয়া
- ✅ হাদিসের আলোকে প্রশান্তি লাভের উপায়
- ✅ সূরা ফাতিহার আরবি উচ্চারণ,বাংলা ও ইংরেজি অর্থ জেনে নিন।
- ✅ রিজিকে বরকত না আসার বা কমার ১০ টি কারণ |
- ✅ ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া | ইনশাআল্লাহ
✅ যেসব স্বভাবের কারণে সংসারে উন্নতি হয় না। ২০২৪
- ✅ পবিত্র কোরআনে রাব্বানা দিয়ে শুরু দু'আ উচ্চারণ অর্থ সহ-
0 Comments