জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ NID ( National Identity ) Card Correction বা সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আপনাকে অন-লাইনে আবেদন করতে হবে।
NID Card বা ভোটার আইডি কার্ড তথা জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল থাকলে ঘরে বসে কিভাবে Online এ NID Card Correction বা সংশোধন করবেন? বা NID ( National Identity ) Card Download উত্তোলন করতে সরকারি ফি কত ? জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত খুঁটিনাটি খুব সহজেই জানতে পারবেন এই ব্লগে । আর আপনার যদি NID সম্পর্কিত কোন তথ্য জানার থাকে তবে এই আর্টিকেল আপনার জন্য ।
সুতরাং Online এ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন- NID Card Correction এর আদ্যোপান্ত বা আগাগোড়া ⤵
একজন ব্যাক্তির NID তথা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ( Correction ) প্রয়োজন পড়ে দুটি কারণে-
এক.
অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তি নিজেই হয়ত ভুলটা করেন অথবা সার্ভারে তথ্য যোগ করার সময়ও হয়ত ভুল হতে পারে।
কিন্তু ভুল তো ভুলই সে যার কারণেই হোক । তথ্যে একবার ভুল হয়ে গেলে অনেকরকম বিপাকে পড়তে হয়।
দুই .
অনেক সময় বাড়ির ঠিকানা বদল, বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি নানা কারণে NID বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের দরকার পড়তে পারে।
NID তথা জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল যেভাবেই হোক এখন এই ভুল অনলাইনেই তথ্য সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। শুরুতেই এনআইডি পোর্টালে ঢুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে এনআইডি নম্বরটি দরকার হবে। আর দরকার হবে জন্ম তারিখ এবং অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সেখানে লিংক পাবেন অনলাইনে অর্থ পরিশোধের।
এছাড়া আরও কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো পরিচয়পত্রে লেখা থাকে না। সেগুলোও সংশোধন করা যায়।
নিচে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলোঃ যাতে আপনি নিজে খুব সহজেই প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করতে পারেন ।
- NID Card Correction / Voter id card songsodhon online
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- NID হারালে বা নষ্ট হলে ডাউনলোড করবেন কিভাবে ?
- স্মার্ট কার্ড কি সংশোধন করা যায়?
- জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) সংশোধন করতে কত ফিস লাগে ?
- আপনার ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি ?
- জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ বা সংশোধনের জন্য কি কি দলিলাদি / ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
✍️ NID Card Correction / জাতীয় পরিচয়পত্র বা তথ্য-উপাত্ত সংশোধন আবেদন
ভোটার আইডি কার্ড বা NID সংশোধন বা Correction করার জন্য প্রথমে NID Application System এ services.nidw.gov.bd ভিজিট অর্থাৎ প্রবেশ করুন। Login করার পর NID Application System Window টি এরকম দেখাবে
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে "রেজিস্টার করুন" option এ ক্লিক করুন । এখানে প্রয়োজনীয় জায়গায়
➣ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর
➣ জন্ম তারিখ এবং
➣ কাপচা কোড দিয়ে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি করে নিন ।
আর যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে অর্থাৎ নতুন নিবন্ধনের জন্য " আবেদন করুন " অপশনে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করুন । অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে
➣ পুরো নাম ( ইংরেজিতে )
➣ জন্ম তারিখ এবং
➣ কাপচা কোড দিয়ে "বহাল" অপশনে এ ক্লিক করলে নিবন্ধন হোয়ে যাবে ।
এখানে NID নম্বর, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। Account Regitration হলে প্রোফাইলে লগইন করতে হবে । জাতীয় পরিচয় পত্রের একাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যান। এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে,
➣ ব্যক্তিগত তথ্য,
➣ অন্যান্য তথ্য ও
➣ ঠিকানা।
এখন প্রোফাইল থেকে এডিট অপশনে লিংক ক্লিক করে তথ্য গুলো সংশোধন ( Correction ) করতে হবে । এরপর সংশোধন ফি ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।
✍️ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ⬇ Download NID
আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট না করে থাকেন তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্টার করে নিন । এরপরে Registration হোয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করে NID Download করতে পারবেন । Login পেজটি এরূপ দেখাবে ⤦
NID Card তথা ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার জন্য services.nidw.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করতে
1. ➤ NID নম্বর অথবা ফরম নম্বর ও
2. ➤ Password দিবেন ।
3. ➤ এরপর ক্যাপচা কোড দিয়ে Login করে ➤ Bangladesh NID Application System এ প্রবেশ করুন ।
Bangladesh NID Application System Page টি নিম্নরূপ দেখাবে ⤵
সবশেষে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলে NID বা জাতীয় পরিচয়পত্র আপনার ডিভাইজে বা কম্পিউটারে বা মোবাইলে Download হোয়ে যাবে ।
✍️ অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার সহজ উপায়
এই আর্টিকেলে খুব সংক্ষেপে সহজভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার উপায় দেয়া হল। এই পদ্ধতিতে আপনি অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সহজেই সংগ্রহ করুন।নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব – এই প্রশ্ন যারা করছেন তারা এই পদ্ধতিতে এনআইডি অনলাইন কপি পাবেন, যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। যারা ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলেছেন কিন্তু এনআইডি পাননি, তারা ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
অথবা আপনি যদি এনআইডি কার্ড হারিয়ে থাকেন, কিন্তু এনআইডি নম্বরটি যদি কোথাও লেখা থাকে তাহলেও আপনি এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার চেষ্টা করতে পারেন। সফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
✍️ স্মার্ট কার্ড ( Smart Card ) সংশোধন
স্মার্ট কার্ড ( Smart Card ) সংশোধন করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে আপনার স্মার্ট কার্ড নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। ফেইস ভেরিফিকেশন করে লগইন করুন। এবার প্রোফাইল অপশনে যান এবং এডিট ( Edit ) লিংকে ক্লিক করে তথ্য সংশোধন করুন। Smart Card Correction Fee অর্থাৎ সংশোধন ফি পরিশোধ ও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন।✍️ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) সংশোধন করতে ফিস !
মূলত NID তথা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের মোট তিনটি ধাপ বা প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রতিটি ধাপের খরচও আলাদ আলাদা। ধাপ তিনটি (০৩) হচ্ছেঃ- ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং
- ঠিকানা সংশোধন.
আইডি কার্ড বা NID তথা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আবেদনের ধরনের উপর ভিত্তি করে এর ফি পরিবর্তন হয়ে থাকে। এমনকি একটি আইডি কার্ড রি ইস্যু ডেলিভারি ধরন সাধারন নাকি জরুরী তার উপরও পরিশোধেও টাকার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড বা NID তথা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে সেটি হিসেব করার সব চেয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো নির্বাচন কমিশন এনআইডি এপ্লিকেশন সিস্টেম।
services.nidw.gov.bd এই অফিশিয়াল ওয়েব সাইট আপনার আইডি কার্ড ( NID ) এর আগে কখনো সংশোধন করা হয়েছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে আপনার আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয় ফিস হিসেব করে দেখিয়ে দিবে।
ফিস/চার্জ
আপনি যদি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করাতে চান বা পুনরায় পেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান ফি প্রদান করতে হবে। সংশোধন বা পুনরায় পেতে ফি এর পরিমান এই লিঙ্ক https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees এর মাধ্যমে জানা যাবে।
ফি প্রদানের নূন্যতম ৩০ মিনিট পর আপনি সংশোধন বা হারানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ফি নিম্নোক্ত ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
১. বিকাশ লিমিটেড।
২. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং।
৩. ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং।
৪. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
৫. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং।
৬. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
৭. ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড এবং উপায় মোবাইল ব্যাংকিং।
৮. সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
৯. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
✍️ আপনার ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় !
ভোটার আইডি কার্ড আপনার কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভোটার স্লিপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করবেন ।
যদি কোন কারনে ভোটার স্লিপ হারিয়ে যায়, তাহলে আপনাকে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই ।
কোন কারনে আপনার ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় হচ্ছে, নিকটস্থ থানায় ভোটার স্লিপ হারানোর বিষয়ে জিডি করে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আবার ফরম নম্বরটি জেনে নেয়া।
অথবা যদি আপনার ফরম নাম্বার বা NID নাম্বার জানা থাকে তাহলে কিছুই করতে হবে না।
আর যদি উপজেলা নির্বাচন অফিসে আপনার যোগাযোগ ভাল থাকে, থানায় জিডি করা ছাড়াও তারা আপনাকে ফরম নাম্বার খুঁজে দিতে সহযোগিতা করতে পারে।
কিন্তু ফরম নাম্বার বা এনআইডি নাম্বার জানা থাকলে কিছুই করতে হবে না কারণ অনলাইন থেকে ফরম নাম্বার বা NID নম্বর দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
✍️ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ বা সংশোধনের জন্য কি কি দলিলাদি / ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
১) জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের স্বপক্ষে, ক্ষেত্রমত, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হইবে, যথা:-
(ক) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র;
(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হইলে এবং তিনি সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকুরীরত হইলে, চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও);
(গ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি;
(ঘ) নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেনস, যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য] ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি;
(ঙ) ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেনস/জন্ম নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
(২) বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোন কারণে কোনো মহিলা তাহার নামের সহিত স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তাহাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৩) পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউনিসলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন: (ক) সংসদ সদস্য, (খ) স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, (গ) গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা, এবং (ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
(১১) অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
✍️ এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য services.nidw.gov.bd এই সাইটে ভিজিট করে NID নম্বর অথবা ফরম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করুন। এরপর ঠিকানা সিলেক্ট করে মোবাইল ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। সবশেষে একাউন্টে লগইন করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
NID হেল্পলাইনঃ অফিস খোলা দিনসমূহে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের হেল্পলাইন 105 নম্বরে ফোন করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেবা নেওয়া যাবে।
FAQs ( Frequently Asked Questions )
👉 প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
👉 প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
👉 প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
👉 প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
👉প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
👉প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
👉প্রশ্নঃ আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
👉প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
👉 প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
👉প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
👉প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
👉প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
0 Comments