Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉
Loading......Wait...... Please..........

ছয় মাসে নিজেকে পরিবর্তন ! নিজের উন্নতিতে বিশ্বাস করতে পারবেন না ! কিভাবে ?

ছয় মাসে নিজেকে পরিবর্তন !
 

✅  নিজেকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। আর ছয় মাসে নিজেকে পরিবর্তন ! অসম্ভব কিছুই নয়। স্ব-উন্নয়নে মনোযোগী হলেই কেবল ভবিষ্যতে ব্যক্তি ও কর্মজীবনে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনা সম্ভব।  
 
তাই নিজেকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। 

অনেকে দ্রুত সময়ে স্ব-উন্নয়নে মনোযোগী হয়ে ক্যারিয়ারের উন্নতির শিখরে যেতে পারে ।

কারণ তারা জানেন, প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে। তাই তারা সফল হওয়ার জন্য তারা সময়কে ব্যক্তিগত উন্নয়নে কাজে লাগানোর মাধ্যমে  যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং জীবনে সফলতা লাভ করেন। 

সেইজন্য  নিজের পরিবর্তন নিজেকেই করতে হবে। জীবনে পরিবর্তন আনতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে  পাল্টে ফেলতে হবে না।


 যা পরিবর্তন করতে চান তা নির্ধারণ করুন:  মনে করুন, আপনি দেরিতে ঘুম থেকে উঠেন, এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করে  আগামী ছয় মাসের মধ্যে আপনি প্রতিদিন সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন।

 এরকম বড় এবং  কিছু ছোট ছোট অভ্যাসকে বিদায় জানিয়ে ধীরে ধীরে জীবনে পরিবর্তন আনতে পারলে আপনি নিজেই নিজেকে চিন্ত্যে পারবেন না । 


 🌈  ছয় মাসের মধ্যে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করে  নিজের উন্নতি করতে পারবেন ? 

✔️ সর্বপ্রথম যে জিনিসটির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হলো সময় । কারণ এই প্রতিযোগিতার মূলধনই হলো আপনার সময় । 

 প্রতিযোগিতার জগতে সময়ের সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। যেভাবে আমরা আমাদের সময় পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা করি, তা আমাদের সাফল্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সময় সঠিকভাবে কাজে লাগালে আমাদের দক্ষতা বাড়ে এবং লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। 

সময়ের সৎ ব্যাবহারের মাধ্যমেই কেবল অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব । 

এই কথাটি মাথায় রেখেই  প্রতিদিন সকাল ৬:০০ টা'র আগেই ঘুম থেকে উঠুন। সকালে সময়মতো উঠে নিজের দিনকে ভালোভাবে শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 এতে আপনি বেশি উৎপাদনশীল হতে পারেন এবং সারাদিনের কাজে বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন।

 সকালে কিছু সময় ব্যায়াম, মেডিটেশন বা পরিকল্পনা করার জন্য বের করে নিলে তা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই উপকারী হবে। নিয়মানুবর্তিতা মেনেই চলার চেষ্টা করুন। 


✔️  অনলাইনে যেসব সময় নষ্টকারী ফাঁদগুলি আছে সেগুলি থেকে দূরে সরে আসুন। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব,  টিক টকের মতো সময় অপচয়কারী বিনোদন থেকে বেরিয়ে আসুন।

 সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইন বিনোদন আমাদের অনেক সময় কেড়ে নিতে পারে। এগুলো থেকে দূরে সরে আসতে কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:


🌷নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন: দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন।


🌷অ্যাপগুলি আনইনস্টল করুন: যেসব অ্যাপ আপনার জন্য বেশি সময় নষ্ট করে, সেগুলি মুছে ফেলতে পারেন।


🌷অফলাইন সময় কাটান: বই পড়া, হাঁটতে যাওয়া, কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা ইত্যাদি অফলাইন কার্যকলাপে মনোনিবেশ করুন।


🌷বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন: কেবল যেসব তথ্য বা বিনোদন আপনার জন্য ইতিবাচক বা শিক্ষণীয়, সেগুলোর জন্য সময় ব্যয় করুন।


🌷নোটিফিকেশন বন্ধ করুন: অনুপ্রেরণামূলক কাজ করার সময় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন যাতে আপনার মনোযোগ বিঘ্নিত না হয়।


এভাবে চেষ্টা করলে আপনি আপনার সময়কে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন! 


✔️  আপনার মোবাইল ফোনের যতগুলি অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞপতি (নোটিফিকেশন ) আছে সব নোটিফিকেশন  বন্ধ করে রাখুন, এমনকি হোয়াটসআপ এর নোটিফিকেশন কেও। শুধু অপ্রয়োজনীয় মুহর্তে ফোনকে ব্যবহার করুন।


✔️ একলা থাকার মাধ্যমে সময়কে ব্যবহার করতে শিখুন, অযথা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিশে অতিরিক্ত সময় অপচয় করবেন না। 


সেই  বইটি পড়তে শুরু করুন যেটি আপনি কিনেছেন কিন্তু এখনো পর্যুন্ত খুলে দেখেন নাই।


✔️ সপ্তাহে অন্তত  ২-৩ দিন বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করুন এবং এটির একটি সাপ্তাহিক তালিকা বানিয়ে নিন। এটি আপনার শরীরকে অনেক মজবুত করবে।


✔️   কিছু মানুষ অহেতুক সময় নষ্ট করে রাতে দেরি করে ঘুমান। অহেতুক রাত জাগেন এবং এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  কোনো কাজ না থাকার পরও অযথা রাত জেগে অমূল্য সময় ও শরীর দুটোই নষ্ট করে। 


 শরীরের বিশ্রামের জন্য ঘুম এবং অযথা ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করার মধ্য পার্থক্যটা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।


✔️ অন্যকে ক্ষমা করুন।  অন্যের অপরাধ মাফ করে দেওয়ার নাম ক্ষমা। ক্রোধ হজম করে প্রতিশোধ গ্রহণ না করাই ক্ষমা । দেখবেন আপনি শান্তিতে আছেন  ।


✔️ আপনার অগ্রাধিকার স্বতন্ত্র রাখুন, না বলতে শিখুন। না বলাটা আপনাকে অনেক কিছু থেকে বাঁচাবে । 


✔️ নেতিবাচক ও লক্ষ্যহীন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন, এরা সবসময় আপনাকে নিচেই নামাবে।


✔️ আপনার ভিতরে একটি সূক্ষ্ণ দক্ষতা আছে যা আপনি করতে ভালোবাসেন সেই দক্ষতাকে আরো উন্নত করে তুলুন (ছবি অঙ্কন, গান গাওয়া, গিটার বাজানো, সাঁতার কাটা যেকোনো ধরণের )।


✔️মোটিভেশনাল বই পড়ার অভ্যাস করুন যেমন-  Rich Dad Poor Dad ( রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড pdf download; অনুপ্রেরণামূলক বই )   বইটিকে একবার পড়ুন, অনুধাবন করুন, ফলাফল আপনি পড়ার পরেই অনুভব করতে পারবেন।


🟢 আরও পড়ুন :




✔️ মাঝে মাঝে ইউটিউবে মোটিভেশনাল দেখতে পারেন বিশেষ করে fearless motivation চ্যানেলটি দেখুন কিন্তু সবসময় দেখবেন না। 

✔️ নিজেকে অনেক অনুপ্রাণিত করতে পারবেন।  দিনশেষে নিজের কাজের অগ্রগতি দেখে লোকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। 


✔️ ভয়কে জয় করা শিখতে হবে । তাই আজ থেকে সেই সব বিষয় করতে শুরু করুন যা করতে আপনি ভয় পান।


 যদি গণিতের ইকুয়েশন সমাধান করতে ভয় হয়, তবে আজ থেকে শুরু করে দিন।

 যদি মঞ্চকে ভয় লাগে তবে আজকেই বক্তিতার অনুশীলন শুরু করুন কারণ কাল আপনাকে ওই মঞ্চে উঠতে হবে। 


✔️  প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে অব্যাহত রাখুন। চারপাশের পরিবেশ থেকে শিখুন। নিজের ভুলগুলোকে ফুল ভেবে, নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন।


নতুন নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করুন। Never Stop Learning. প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে তৈরি করুন।নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। 


 নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না কারণ আপনার মধ্যে অপার সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। 


 ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।


বুঝতে হবে তীব্রতা খরগোশ এবং ধারাবাহিকতা একটি কচ্ছপ। আপনার অনুভূতি কেমন তার বিবেচনা আপনার স্বপ্ন করবে না, ধারাবাহিক হোন। 


জীবনে যদি অভ্যাসগত কিংবা আচরণগত পরিবর্তন আনতে পারেন তাহলেই আগামী ছয় মাস পর আপনি আপনার অগ্রগতি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন।  




🌈   নিজেকে ছয় মাসে পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ ।

🟢 গোল বা লক্ষ্য ছারা আপনি আপনার উন্নতি কখনই সম্ভব না । তাই  একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করুন।


🟢 আমরা আমাদের বেশিরভাগ সময় সামাজিক মাধ্যমে অযথা নষ্ট করি । তাই আপাতত এই ছয় মাস এবং পারলে পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যম থেকে ইস্তফা দিন।


🟢 নেতিবাচক লোকজন আপনাকে পশ্চাতে নিবে । তাই  নেতিবাচক লোকদের সঙ্গ পরিহার করুন। 


🟢 রুটিনমাফিক এগোতে থাকুন। রুটিন পালনে কোন গাফিলতি করবেন না ।  


🟢 আগামী ছয় মাসের মধ্যে কি কি কাজ সম্পাদন করতে চান,তার একটা লিস্ট করুন।


🟢 গেজেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় পরিহার করুন।


🟢 যথাসম্ভব বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে ফেলুন।  বন্ধু সঙ্গ ত্যাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন।


🟢 অন্যকে নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। নিজের উন্নতিতে মনোযোগ দিন ।  



Frequently Asked Questions ( FAQ )

 প্রস্নঃ-  মানুষকে ক্ষমা করলে কী লাভ ?
উত্তরঃ-   ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। মানুষের মধ্যে মহৎ গুণগুলোর  অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে 'ক্ষমাশীলতা' সর্বোৎকৃষ্ট এ গুণ মানুষকে মহৎ করে।  যে অন্যকে ক্ষমা করবে আল্লাহতালা তাকে ক্ষমা করবেন।  

 প্রস্নঃ-   নিজেকে পরিবর্তন করার মতো পজেটিভ উপায় কি ? 
উত্তরঃ-  ১. আপনার কাছে টাকা থাকবে তখন হাজারো লোক আপনার কাছে আসবে  আপনার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইবে। কিন্তু এই টাকায় যখন আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে।
২. আপনি যদি হাসি মুখে পুরো পৃথিবীটা দেখেন তাহলে আপনার কাছে পৃথিবীটাই রঙিন  মনে হবে। তা না হলে কান্না ভরা চোখে আয়না কেউ ঝাপসা মনে হবে।
৩. মানুষের মধ্যে সবসময় খারাপ খোঁজার চেষ্টা করবেন না, কারণ খারাপ মানুষগুলো ওই  মাছির মতো হয়। যা সমস্ত ভালো জিনিস ছেড়ে নোংরা জিনিসের উপর গিয়ে বসে। 
৪. জীবনে কখনো কাউকে কোনদিন ফালতু মনে করা উচিৎ নয়। কারণ বন্ধ হয়ে থাকা ঘড়িটাও দিনে দুবার সঠিক সময় দেখায়।

Post a Comment

0 Comments