নাকে সংবেদন সৃষ্টি হলে হঠাৎ করে প্রবল বেগে নাক এবং মুখ থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাতাসের নির্গমনই হলাে হাঁচি ( sneeze, Allergic ) ।
হে ফিভার, যাকে এলার্জিক রাইনাইটিসও বলা হয়, এটি একটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া যা ঠাণ্ডার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। এটির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে – নাক থেকে পানি ঝরা, চোখে চুলকানি, নাক বন্ধ থাকা, এবং হাঁচি। সাধারণত, পোলেন, পোষা পশুর চর্বি, এবং ছত্রাক এই এলার্জির কারণ হতে পারে।
হাঁচি বা সর্দি যে কোন সময় যে কোন মানুষের আসতে পারে। তবে হাঁচি আসা দোষের কিছু নয়। হাঁচি বা সর্দি হলো এক প্রকার শারীরিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শরীর থেকে উদ্দীপক বা উত্তেজক বস্তু অপসৃত হয়।
অ্যালার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিরা উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থ যেমন : হিস্টামিন নাক দিয়ে নির্গত হওয়ার সময় হাঁচি দেয়। খাওয়ার সময়, ক্লাসের ফাঁকে, অফিসে জরুরি মিটিংয়ের মাঝে কিংবা ঘুমের মধ্যে হাঁচি একটা চরম অস্বস্তিকর, বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করে।
কেউ যখন ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয় তখন নাক দিয়ে পানি ঝরা, নাকের ভেতরে যন্ত্রণা অনুভব করা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং বারবার হাঁচি আসার সমস্যায় ভোগেন। হাঁচি বা সর্দি ঠাণ্ডার সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ সমস্যা।
হে ফিভার, যাকে এলার্জিক রাইনাইটিসও বলা হয়, এটি একটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া যা ঠাণ্ডার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। এটির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে – নাক থেকে পানি ঝরা, চোখে চুলকানি, নাক বন্ধ থাকা, এবং হাঁচি। সাধারণত, পোলেন, পোষা পশুর চর্বি, এবং ছত্রাক এই এলার্জির কারণ হতে পারে।
অসহনীয় অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে, প্রথমে এর কারণ চিহ্নিত করা জরুরি। সাধারণত, অ্যালার্জির কারণে হাঁচি হয়ে থাকে, যা ধুলাবালি, পশুপাখি, বা ফুলের পরাগের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘটে। চিকিৎসার জন্য অ্যালার্জির ওষুধ, যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, নাক ধোয়ার জন্য স্যালাইন স্প্রে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। সঠিক চিকিৎসা না করলে সমস্যা অব্যাহত থাকতে পারে এবং ভবিষ্যতে অন্য শ্বাসজনিত রোগ হতে পারে। একটি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
তবে অতিরিক্ত হাঁচি দেয়া অসুস্থতার লক্ষণ। কী কী কাজ করলে অতিরিক্ত হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন, জানেন কি ?
এমন অসহনীয় অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে বা চট করে হাঁচি বা সর্দি দূর করতে কী করবেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন অসহনীয় অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তির ১০টি অব্যর্থ উপায়-
ক্রমাগত অসহনীয় হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিঃ Hay fever (allergic rhinitis)
▷ এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। হাঁচি সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।
▷ মুখের ওপরের অংশে ভালও করে মালিশ (ম্যাসাজ) করুন। প্রয়োজনে গলার পেছনের অংশে হালকা মালিশ করুন। এতেও হাঁচি কমবে।
▷ বেশি করে পানি খান। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানি খেলে তাড়াতাড়ি হাঁচি উপশমে উপকার পাওয়া যায়।
▷ যখন নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন তখন নাকে হালকা করে চাপ দিন। এটি হাঁচির সমস্যা কমাতে সহায়ক।
▷ হাঁচি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হলো দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন হাঁচি নিমেষেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
▷ হাঁচি বন্ধ করতে লেবুর রসের সঙ্গে আদা কুচিও খেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই হাঁচি উপশমে উপকার পাবেন।
▷ যদি হঠাৎ করে হাঁচি ওঠে, তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। হাঁচি সমস্যা মিটে যাবে।
▷ কাগজের ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নিশ্বাস নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই হাঁচি উপশমে উপকার পাবেন।
▷ লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। এতে তাড়াতাড়ি হাঁচি উপকার পাওয়া যায়।
▷ হাঁচি বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে সেটি চুষুন। এটি হাঁচি বন্ধ করতে বেশ কার্যকর।
অসহনীয় অনবরত হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে করনীয়ঃ Hay fever (allergic rhinitis)
👉 ভিটামিন সি : হাঁচি উপশমে নিয়মিত সাইট্রাস ফল খাওয়া ভালো। লেবু, কমলা, জাম্বুরা ও আঙ্গুর ফল ঘন ঘন হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। হারবাল চায়ের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
👉 পিপারমেন্ট অয়েল : পিপারমেন্ট অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুধু হাঁচিই প্রতিরোধ করে না, নাকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে; ফুটন্ত পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নিয়ে। এরপর মাথা একটি বড় তোয়ালে দিয়ে ঢেকে ভাঁপ নিতে হবে। এর ফলে নাক পরিষ্কার হবে এবং সহজে শ্বাস নিতে পারবেন।
👉 বিছুটি গাছ : অনবরত হাঁচি দেয়ার সমস্যাটির সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বিছুটি গাছ। যেকোনো ধরনের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট হাঁচি থেকে মুক্তি দিতে পারে বিছুটি পাতা। ফুটন্ত পানিতে বিছুটি পাতা দিয়ে চা তৈরি করে দিনে দুই-তিনবার এই চা পান করলে উপকার হবে।
👉 দস্তা: বিরামহীন হাঁচি হলে দস্তা মানে জিঙ্ক আপনার পরম বন্ধু। প্রচুর পরিমাণে দস্তা আছে এমন খাবার কিংবা ‘সাপ্লিমেন্ট’ যে কোনোটাই বেছে নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করায় দস্তা অতুলনীয়। এর প্রাকৃতিক উৎসগুলোর মধ্যে আছে বাদাম, শিম, মটর ও শুঁটি-জাতীয় খাবারে।
👉 কালো এলাচ: সবার রান্নাঘরেই এলাচ আছে, যা হাঁচি বন্ধ করতে পারে। এলাচের কড়া গন্ধ এবং এতে থাকা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ ‘মিউকাস’য়ের প্রবাহ রোধ করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টিকারী উপাদান বের করে আনে। অ্যালার্জিজনীত হাঁচিতে এটি বিশেষ কার্যকর। খেতে হবে চিবিয়ে।
👉 আমলকী: পুষ্টিকর একটি ফল তা সবারই জানা। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, এতে থাকা শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ নাকের রাস্তা পরিষ্কার করে, ফলে হাঁচি থেমে যায়। খেতে পারেন সরাসরি কিংবা শরবত বানিয়ে। দিনে সর্বোচ্চ তিনবার আমলকীর শরবতে পান করা যায়।
👉 গোলমরিচ : অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় গোলমরিচ বিভিন্ন প্রকারের শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা মোকাবেলায় এবং হাঁচি নিরাময়েও সাহায্য করে। কুসুুম গরম পানিতে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার পান করুন। গারগলও করা যায়।
👉 আদা ও তুলসি: এই দুটোর মিশ্রণ সর্দি-জ্বর এবং অ্যালার্জি থেকে আরাম দেওয়ার হাঁচি উপশমে একটি শক্তিশালী উপায়। এজন্য তিন-চারটি তুলসি পাতা ও ছোট এক টুকরা আদা পানিতে ফুটাতে হবে এবং সেই পানি পান করতে হবে। সরাসরি আদার বদলে আদার গুঁড়াও ব্যবহার করা যেতে পারে।
👉 রসুন: এর গন্ধটা সবার কাছে সহনশীল না হলেও রান্নায় স্বাদ আনতে এই মসলা অনন্য, সেই সঙ্গে তাড়ায় অ্যালার্জিও। এতে থাকে এক বিশেষ সক্রিয় উপাদান ‘অ্যালিসিন’, যা বন্ধ নাক খুলে দিতে হাঁচি উপশমে অত্যন্ত কার্যকর, পাশাপাশি বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কাঁচা-আদা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে
শুধু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করে থাকা সবসময় ঠিক নয়। তাই অবস্থা বেগতিক দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে অ্যালর্জিজনীত কারণে হাঁচি হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে হবে অ্যালার্জির কারণ।
আর যদি হাঁচি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
🩺 ক্রমাগত অসহনীয় হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ Hay fever (allergic rhinitis)
রোগীকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে।
👍 হাঁচি এবং নাকের পানি বন্ধ করার জন্য রোগীকে ক্লোরফেনিরামিন মেলিয়েট জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন, ট্যাব আকারে যেগুলো দেওয়া হয় তাহলো : ট্যাব, পিরিটন, বা ট্যাব, এনটিসটা বা ট্যাব, ডিস্টামিন বা ট্যাব, হিস্টালেক্স বা ট্যাব হিস্টাসিন বা ট্যাব. হিস্টাল ইত্যাদি।
এ ওষুধগুলো যেসব রোগী ট্যাব খেতে পারে না তাদের জন্য সিরাপও পাওয়া যায়। এই সিরাপ প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ করে তিনবার খাবার খাওয়ার পর তিন/পাঁচ দিন চলবে।
অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন,
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা,
মালিবাগ, ঢাকা।
🩺 ক্রমাগত অসহনীয় হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা বিষেশজ্ঞ পরামর্শ
এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি?
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সমন্বিতভাবে এ রোগের চিকিৎসা হলো :
👉 এলারজেন পরিহার : যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
👉 ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়।
👉 অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বিশেষত উন্নত দেশগুলোতে ও পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অবিহিত করেন । এটাই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি।
আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জি জনিত রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে ।
উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে। তাই সময়মতো অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা বিষেশজ্ঞ
দি এলার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার
৫৭/১৫ পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: নং ০১৭২১৮৬৮৬০৬, চট্টগ্রাম- ০১৮৪২৭০৮৯৪৫, ফরিদপুর- ০১৭১১৪৪৫৮০৫, যশোর- ০১৭১১৮৪১৫৭২, ঝিনাইদহ- ০১৭১১৯৬৫৪৫৪।
হাঁচির বিভিন্ন কারণ হতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:হাঁচি দিলে কি ঘটে !
আমরা যখন হাঁচি দেই তখন ঘন্টায় প্রায় ১০০ মাইল বেগে নাক দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসে। আর এর সাথে বেরিয়ে আসা জলীয়পদার্থ প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। হাঁচির স্প্রের কথা ভুলে গেলে চলবে না – প্রায় ২০০০ থেকে ৫০০০ জীবাণুযুক্ত তরলপদার্থ নাক-মুখ দিয়ে হাঁচির মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।
আমাদের দেহের অ্যাবডোমিনাল বা পেটের পেশি, বুকের পেশি, ডায়াফ্র্যাম বা বক্ষ-উদরের মধ্যে উপস্থিত পেশি, স্বরযন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী পেশি এবং কণ্ঠের পেছনের পেশি একটি হাঁচি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে থাকে। হাঁচি হওয়ার জন্যে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। যদি নাক বন্ধ করে হাঁচি দেয়া হয়, তবে তা 176mmHg বায়ু চাপের সমান চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এটা আপনার শ্রবণ শক্তিকে এবং চোখকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আপনার হাঁচি আপনি গর্বের সাথে উড়িয়ে দিন। তবে বাতাসে নয়, রুমালে। আর অনেকে বলে থাকেন যে, হাঁচির সময় পাপকিন বা পাইনাপেল বললে হাঁচিটা সহজে বের হয়ে যায়।
✔️ অ্যালার্জি:
ধুলা, পিঠ লাইকায়, গাছের পাপড়ি (পলিন), পশু ব্যবস্থাপনা।
কিছু খাবার যেমন মাছ, ডিম, বা বাদাম।
✔️ শীতল বা ভাইরাল সংক্রমণ:
ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু, বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
✔️ এয়ার আইরিটেন্টস:
ধূমপান, দাহ্য পদার্থ, এবং রসায়নিক গ্যাস।
✔️ মৌসুমী পরিবর্তন:
মৌসুম পরিবর্তনের সময় অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, যেমন শরতের সময় পলিন।
✔️ সাইনাস ইনফেকশন:
সাইনাসের সমস্যা বা সংক্রমণের কারণে।
✔️ হরমোনাল পরিবর্তন:
হরমোনের পরিবর্তন গর্ভাবস্থায় বা মাসিকের সময়ে।
✔️ ফুসফুসের সমস্যাগুলি:
অ্যাস্থমা বা অন্যান্য ফুসফুসের অসুখ।
যদি হাঁচি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
একটানা হাঁচি হল ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত যা করবেন:
▶ অসহনীয় হাঁচি বা সর্দি হলে বিশ্রাম নেওয়া, বেশি করে পানি পান করা এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া উপকারী হতে পারে।
▶ নাকের নোম বড় হলে হাঁচি আসে। লোম কেটে ছোট করুন। নাকে আলসার হলে হাচি আছে।
▶ কোনো দুর্গন্ধ পেলে যেভাবে আমরা নাক বন্ধ করি; ঠিক সেভাবে। তারপরে আরেক হাত দিয়ে ভ্রু’র নিচে নাক বরাবর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখলেই হাঁচি বন্ধ হয়ে যাবে।
▶ অনেকেরই হঠাৎ উজ্জ্বল আলোর সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হতে পারে। সূর্যের আলোতেই বেশিরভাগ সময় এমনটি হয়ে থাকে।
প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক এ ধরনের অ্যালার্জিতে ভুগে থাকেন। এজন্য সরাসরি কখনো আলোর দিকে তাকাবেন না। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও পোলারাইজড সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
▶ অত্যাধিক হাঁচির ফলে শ্বাসগত সমস্যা কমানর জন্য গরম পানির ভাঁপ নিলে হাঁচির ফলে হওয়া শ্বাসগত সমস্যা কমে যাবে দ্রুত। এজন্য একটি পাত্রে কিছুটা গরম পানি নিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন।
মাথার উপরে একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিন। হাঁচির পরে এভাবে বাস্প নিলে দ্রুত নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনি তাৎক্ষণিক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবেন
ঘরোয়া এসব উপায়েও যদি হাঁচি বন্ধ না হয়; সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
উপদেশ !
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে গরম পানি প্রান করা এবং দিনে ৪/৫ বার এভাবে গরম পানি প্রান করুন। আমি গত ৩/৪ মাস গরম পানি প্রান করে একদম সুস্থ ও খুব আরাম অনুভব করছি।আসা করি আপনিও উপকৃত হবেন।
হাঁচির সময় কয়েকটি বিষয় বর্জন করা উচিত। হাঁচির সময় নাক থেকে অযথা বাহ্যিক পদার্থ প্রবাহিত হওয়ার কারণে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো:
🤦 অন্যদের সামনে হাঁচি বা কাশি দেওয়া এড়িয়ে চলুন, যাতে তারা সংক্রামিত না হন।
🤦 হাঁচির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু ঠিকভাবে ফেলে দিন।
🤦 হাত ধোয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে হাঁচির পর।
🤦 সঠিকভাবে চিকিৎসা নেয়া একান্ত প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
✍🏻 ঘরোয়া এসব উপায়েও যদি হাঁচি বন্ধ না হয়; সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
🩺 ক্রমাগত অসহনীয় হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা বিষেশজ্ঞ পরামর্শ
এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি?
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সমন্বিতভাবে এ রোগের চিকিৎসা হলো :
👉 এলারজেন পরিহার : যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
👉 ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়।
👉 অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বিশেষত উন্নত দেশগুলোতে ও পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অবিহিত করেন । এটাই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস/অ্যাজমা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি।
আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জি জনিত রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে ।
উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে। তাই সময়মতো অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
✍🏻 অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা বিষেশজ্ঞ
দি এলার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার
৫৭/১৫ পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ০১৭২১৮৬৮৬০৬, চট্টগ্রাম-০১৮৪২৭০৮৯৪৫, ফরিদপুর-০১৭১১৪৪৫৮০৫, যশোর-০১৭১১৮৪১৫৭২, ঝিনাইদহ- ০১৭১১৯৬৫৪৫৪।
🩺 ক্রমাগত অসহনীয় হাঁচি বা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
রোগীকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে।
👍 হাঁচি এবং নাকের পানি বন্ধ করার জন্য রোগীকে ক্লোরফেনিরামিন মেলিয়েট জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন, ট্যাব আকারে যেগুলো দেওয়া হয় তাহলো : ট্যাব, পিরিটন, বা ট্যাব, এনটিসটা বা ট্যাব, ডিস্টামিন বা ট্যাব, হিস্টালেক্স বা ট্যাব হিস্টাসিন বা ট্যাব. হিস্টাল ইত্যাদি।
এ ওষুধগুলো যেসব রোগী ট্যাব খেতে পারে না তাদের জন্য সিরাপও পাওয়া যায়। এই সিরাপ প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ করে তিনবার খাবার খাওয়ার পর তিন/পাঁচ দিন চলবে।
✍🏻 অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন,
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা,
মালিবাগ, ঢাকা।
উত্তরঃ ▷ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ, গরম পানির সাহায্যে গারগল করা, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া উপকারী হতে পারে। তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
সর্দি হলে কিছু নির্দিষ্ট খাবার খেলে উপকার হতে পারে। নিম্নলিখিত খাবারগুলো গ্রহণ করা recommended:
গরম পানীয়: গরম জল, আদার চা বা লেবুর জল সর্দিকে কমাতে সহায়ক।
সুপ: হালকা গরম মুরগির সুপ বা সবজির সুপ খেলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হতে সাহায্য করে।
ফল: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, স্ট্রবেরি, kiwi ও আমলকী খেতে পারেন।
মধু: মধু গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কণ্ঠনালি শান্ত করে।
দই: এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
তাজা সবজি: বিশেষ করে পালং শাক, ব্রোকলি ও গাজর সর্দি কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে জল পানে শরীরে পানির অভাব পূরণ করতে ভুলবেন না। এগুলি সাধারণ খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং সর্দি কমাতে সাহায্য করে।
উত্তরঃ ▷ ডেসলােরাটাডিন ( Desloratadine ) সিজোনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জি জনিত রাইনাইটিস (হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক চুলকানি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া) উপশম করে। ডেসলােরাটাডিন চোখের চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, তালুর চুলকানি এবং কাশি নিরাময় করে।
উত্তর ▷ প্রতিটি মুমিনের জন্য হাঁচি এলে আলহামদুলিল্লাহ পড়া সুন্নত। শুধু তাই নয়, কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়লে তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ পড়াও সুন্নত। কোনো কোনো হাদিসে এটিকে মুসলমানের হক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হাঁচি পরিপূর্ণ শেষ হওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে।
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের
follow দিয়ে রাখুন । অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।
0 Comments