“অজ্ঞানতার দুনিয়ায় আমি ‘ভগবান’ হিসেবে পূজিত ছিলাম, আলোকিত বিশ্বে আমি নিজকে মানুষ হিসেবে খুঁজে পেয়েছি।” ডঃ স্বরূপজী ( Dr. Swaroop ji )
হেদায়েতের আলো আভায় উদ্ভাসিত রঙিন জীবন, পৃথিবীতে এ মহাসৌভাগ্য যারা লাভ করেছেন- তাদের অন্যতম একজন হলেন ভারতের ৭০ কোটি হিন্দুর সাক্ষাৎ ভগবান ড. শিবশক্তি স্বরুপজি ( Dr. shiv shakti swaroop ji )।
হিদায়াতের নূরে উদ্ভাসিত আলোকিত হয়ে পৃথিবীর সেরা আলোকিত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন ড. শিবশক্তি।
- তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় সারা বিশ্ব বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল।
- সারা দুনিয়ার উল্লেখযোগ্য সকল মিডিয়া তা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছিল।
- তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী সত্যান্বেষী ও সত্যপ্রিয় যে কোনো মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার আকর হয়ে থাকবে।
- ডঃ শিবশক্তি স্বরুপজীর ( Dr. Swaroop ji ) বদলে যাওয়া জীবনের ঈর্ষণীয় সে উপাখ্যানই আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরার ব্যকুলতা হৃদয়ে অনুভব করছি।
চলুন- শুনি হেদায়েতের নূরানী আভায় আলোকদীপ্ত, উদ্ভাসিত স্বার্থক মহত এক ব্যক্তিত্বের আমূল বদলে যাওয়া জীবনের অভূতপূর্ব হৃদয়ছোঁয়া কাহিনী-
🟢 “আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। ”
– বুখারী
জন্ম ও পরিচয়
ডঃ সাহেব ভারতের বৃন্দাবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর এ বৃন্দাবনেই হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম। হিন্দুসমাজ এ বৃন্দাবনকে তাদের পবিত্র তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচনা করে।
রাধা কৃষ্ণের লীলাভূমি নামেও এটি সারা পৃথিবীতে পরিচিত। ভারতের হিন্দুসমাজ মনে করতেন, রাধা কৃষ্ণের এ লীলাভূমি বৃন্দাবনেই আরেক ভগবান জন্মগ্রহণ করে ‘শিবশক্তি’ নামধারণ করেছেন।
ডঃ শিবশক্তি উত্তর ভারতের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে ১৯৩৬ সালে এক ঐতিহ্যবাহী মোহন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বংশানুক্রমেই সর্বস্বামী বা মোহন্ত।
তার পিতার নাম প্রিতমদাস উদাসেন এবং মায়ের নাম ভানুমতি কর। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হলেন শিবশক্তি।
বারটি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন তিনি
পৃথিবীর বারটি ভাষায় তিনি পা-িত্য অর্জন করেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইংরেজি, সংস্কৃতি, গ্রিক, উর্দু, পালি, মারাঠি, গোরমুখি, গুজরাটি, আরবী প্রভৃতি ভাষা।
🟢 “নিশ্চই নিজের সন্তানকে উত্তম ব্যবহার শেখানো, গরিবকে শস্য দান করার চেয়েও উত্তম” – মুসলিম
শিক্ষা জীবন
পিতার আশ্রমেই শিবশক্তি প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন। পরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অরিয়ান্টালিজম এ মাস্টার্স করেন। গুরু কুল কাংড়ি থেকে ‘আচারিয়া’ পদবি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিশ্বের দশটি প্রধান ধর্মের উপর ডক্টরেট অব ডিভাইটিটি এবং অরিয়ান্টালিজম এ আরেকটি ‘পি এইচ ডি লাভ করেন।
জোর করে কারো মন জয় করা যায় না। ইসলাম প্রচারকদের চরিত্র মাধুর্য আর মানবতায় মুগ্ধ হয়েই হিন্দু সমাজে অত্যাচারিত হিন্দুরা ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল। নিম্নবর্ণ নয়, উচ্চ বর্ণের অনেক হিন্দুই ইসলামের সুমহান আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, যার সর্বশেষ উদাহরণ ভারতের প্রায় ১০০ কোটি হিন্দুর ভগবান ড. শিবশক্তি স্বরুপজি। তিনি পৃথিবীর ১২টি ভাষাতে দক্ষ ছিলেন। যিনি ভারতের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দু গবেষকদের মতে, এ বৃন্দাবনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই বৃন্দাবন ছিল তাদের তীর্থভূমি। ভারতের হিন্দু সমাজের মতে, রাধাকৃষ্ণের লীলাভূমিতেই আরেক ভগবান জন্মগ্রহণ করে শিবশক্তি নাম ধারণ করেছেন। অথচ, সেই তিনিই ১৯৮৬ সালে ইসলামে দীক্ষিত হন। ইসলাম গ্রহণের পরে তিনি ড. ইসলামুল হক নামে বিশ্বময় পরিচিতি পান।
একজন সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিল যে, “ভারতীয় হিন্দুদের ভগবানের আসনে সমাসীন হবার সৌভাগ্য লাভ করেও আপনি কেন ইসলাম গ্রহণ করেছেন?
✅ ডঃ স্বরূপজী ইসলামে মুক্তির স্বাদ পেলেন গত ১০ই মে (১৯৮৬) ভারতের সাম্প্রতিক কালের এক মহাত্মা ধর্মগুরু যিনি সেদিন পর্যন্ত সেদেশের সর্বত্র ‘ভগবান’ নামে পরিচিত ও পূজিত ছিলেন সেই ডঃ শিবশক্তি স্বরূপজী মহারাজ উদাসেন নিজ স্ত্রী ও কন্যাসহ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার নতুন নাম রাখা হয় ইসলামুল হক, পত্নীর নাম খাদিজা হক আর কন্যার নাম রাখা হয় আয়েশা হক। গুজরাটের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘শাহীন’ এর তরফ হতে ডঃ ইসলামুল
🟢 প্রশ্ন: ইসলাম গ্রহণের পর আপনি কি অনুভব করছেন?
উত্তর: আল্লাহর হাজার শোকর যে, তিনি আমাকে ঈমানের অমূল্য সম্পদ প্রদান করেছেন। আমি নিজকে পৃথিবীর এক ভাগ্যবান ও বিজয়ী পুরুষ বলে মনে করি। অজ্ঞানতার দুনিয়ায় আমি ‘ভগবান’ হিসেবে পূজিত ছিলাম, আলোকিত বিশ্বে আমি নিজকে মানুষ হিসেবে খুঁজে পেয়েছি।
🟢 প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আপনি মেহেরবানী করে আপনার আগের নাম ও পরিচয় সম্বন্ধে কিছু বলুন?
উত্তর: আমার নাম মহানত, ডঃ শিবশক্তি স্বরূপজী মহারাজ উদাসেন, ধর্মচারিয়া, আদ্যশক্তিপীঠ। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আমার পেশা মহানতগিরি। বৃন্দাবনে ‘অনাখন্ড আশ্রম’ নামে আমার বড় আশ্রম ছিল। দ্বিতীয় আশ্রম ছিল বোম্বাইয়ের মুলুনডে। আর তৃতীয় দেবালেইনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই আশ্রমটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৫০ একর
🟢 প্রশ্ন: আপনার পান্ডিত্যের খ্যাতি সর্বত্র। আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে, নিজের শিক্ষা জীবন ও ধর্মজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর: আশ্রমেই আমার শিক্ষার সূচনা হয়। পরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওরিয়েন্টালিজমে এম.এ। গুরুকুল কাংডি থেকে ‘আচারিয়া’ (আচার্য) পদবী লাভ। বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বের দশটি প্রধানতম ধর্মের উপর ডক্টর অব ডিভাইনিটি এবং সেই সাথে ওরিয়েন্টালিজমে আরেক পি.এইচ.ডি। পোপ পল-৬ এর আহবানে ইতালী যাই। সেখানে সাতটি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ দান করি। আমাকে এক মহাসম্মান ভাটিকানের নাগরিত্ব দান করা হয়। এবং খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান হয়। আমি তদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ভারতে এসে বিধিমত মুকুট ধারণ করে আশ্রমের গদিতে বসে পড়ি। আমার জন্ম ১৯৩৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী। জন্মস্থান মথুরা, বৃন্দাবন। আমি প্রায় ১২টি ভাষা জানি, এর মধ্যে ইংরেজী, সংস্কৃত, গ্রীক, হিন্দি, পালি, গোরমুখী, মারাঠী, গুজরাতি, উর্দু ও আরবী আমার ভাল লাগে। … আগেই বলেছি, আমি দুনিয়ার দশটি প্রধানতম ধর্মের উপর তুলনামূলক পড়াশুনা ও গবেষণা করেছি।
সে জন্য সত্য স্বীকারে আমার কোন সংকোচ ছিল না। আমার সমকালীনদের মধ্যে হিন্দু জগতের বড় বড় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব ও পন্ডিত রয়েছেন। যেমন জগৎগুরু শংকরাচার্য, রামগোপাল শারওয়ালে, পুরীর শংকরাচার্য, মহামন্ডেলশ্বর স্বামী অখন্ডানন্দজী, গুরু গোলওয়ালকার বাবা সাহেব দেশমুখ, বালঠাকুরে, অটলবিহারী বাজপায়ী, নানা সাহেব, দেশমুখ, বিনোবা ভাবে এবং অন্যান্য। একবার তিনি তার “পরমধাম” আশ্রমে আমাকে বক্তৃতাদানের বিশেষ আমন্ত্রণ জানান। সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে দাদা ধর্মাধীকারী আমাকে জিজ্ঞাসা করে বসেনঃ “আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশুনা করেছেন, মানুষের জন্য কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়? আমি জবাবে বলেছিলাম,‘ইসলাম’ আমার জওয়াবে দাদা খুশী হন নাই। তিনি বলেন, উঠেন, “ইসলাম নানা বাধা-বন্ধন আরো করে।” আমি জবাব দিলাম, “যে বন্ধন বাঁধে, সেই বন্ধনই মুক্তি দিতে পারে। আর যে প্রথম থেকে স্বাধীন, তার সারা জীবনের জন্য বন্ধন সৃষ্টি প্রবণতা থেকে যাবে। এ ধরনীতে মানুষকে এক সাথে বেঁধ রাখার জন্য বন্ধনকারী ধর্মের প্রয়োজন রয়েছে, যা তাদের পৃথিবীতে ভাল করে বেঁধে রাখবে এবং পরলোকে মুক্ত করে দেবে। আর এ রকম ধর্ম আমার মতে একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। ইসলাম ছাড়া এরকম ধর্ম আমি আর দেখি না।”
🟢 প্রশ্ন: নিজের ইসলাম গ্রহণের কারণ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করুন।
উত্তর: ১৯৮৪’র জানুয়ারীর কথা। এক রাত্রে আমি স্বপ্ন দেখলাম। একদল লোক আমাকে ধাওয়া করছে। আমি দৌড়াচ্ছি তারাও দৌড়াচ্ছে। আমি দাঁড়াই, তারাও দাঁড়ায়। হঠাৎ আমি ধাক্কা খেলাম এবং মাটিতে পড়ে গেলাম। দু’টি অজানা হাত আমাকে ধরে দাঁড় করালো। দাঁড়িয়ে এক নূরানী চেহারার দিকে অবাক হয়ে থাকিয়ে রইলাম। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ভদ্রলোক আমাকে বললেন, ইনি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। আমার শরীর কাঁপতে শুরু করল। নবীজী বললেন, ‘‘কলমা পড়।” আমি কলমা পড়লাম। তিনি আমার ডান হাত নিজের পবিত্র হাতের মধ্যে রেখে যা যা পড়াতে লাগলেন, আমি তা পড়তে লাগলাম। এমনি করে পড়া শেষ হলো। তার পর তিনি আমাকে আলিঙ্গন করলেনঃ আর বললেন, “এ দেশকে কলমা পড়াও।” আমি কতক্ষণ ধরে এ স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা আমার মনে নেই। যখন চোখ খুললাম, দেখলাম রাত তিনটা বাজে। একই রাতে, একই সময়ে আমার স্ত্রীও এ ধরনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। … আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই নিজেদের প্রথম শতাব্দীর মুসলমান বলে ভাবতে লাগলাম। আমি বিধিসম্মতভাবে মুসলমান হবার উপায় খুঁজতে লাগলাম, এখানে সেখানে ঘুরি, আর মুসলমানদের সাথে সম্পক বাড়াই। চুপিসরে নামায পড়ি। এবাদত বন্দেগী করি। পরিশেষে ভাগ্যক্রমে আলেমদের শহর ভুপাল পৌঁছি। ১৯৮৬-এর ১০ই মে, রমজান মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথে আমি আমার স্ত্রী আর আমার যুবতী কন্যা প্রকাশ্যভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আলহামদুলিল্লাহ
🟢 প্রশ্ন: আপনি বহু ধর্ম অধ্যায়ন করেছেন। ইসলামের পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ, কুরআন, মোহাম্মদ (সাঃ) অথবা ইসলাম সম্পর্কে কোন বর্ণনা দেখতে পেয়েছেন?
উত্তর: বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ছাড়া বাকী সব ধর্ম গ্রন্থে আল্লাহ, মোহাম্মদ (সাঃ) অথবা আহমদ নাম পাওয়া যায়। বেদে খুবই স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।
🟢 প্রশ্ন: আপনি লাখ লাখ টাকার সম্পদের মোহ ছেড়ে দিয়ে ইসলাম কবুল করেছেন। বর্তমানে আপনি কিভাবে জীবন নির্বাহ করছেন?
উত্তর: আমি সমগ্র বিশ্বের রাজত্বও ইসলামের এই মহান উপহারের বদলে ত্যাগ করতে দ্বিধা বা কুন্ঠাবোধ করতাম না। ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে যে তৃপ্তি আমি পেয়েছি সাতরাজ্যের ধন সম্পদ লাভ করেও তা পাওয়া সম্ভব নয়। আমি আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করি। আল্লাহ তায়ালার কৃপায় প্যারা মাইক্রো পন্থায় দুরারোগ্য ব্যাধির উপশম ঘটাই। এতেই আমার, আমার পরিবারের ডাল রুটির ব্যবস্থা হয়ে যায়।
🟢 প্রশ্ন: আপনি বহু ধর্ম অধ্যয়ন করেছেন। ইসলামের পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ, কুরআন, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা ইসলাম সম্পর্কে কোন বর্ণনা দেখতে পেয়েছেন?
উত্তর: বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ছাড়া বাকী সব ধর্ম গ্রন্থে আল্লাহ, মোহাম্মদ (সাঃ) অথবা আহমদ নাম পাওয়া যায়। বেদে খুবই স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।
🟢 প্রশ্ন: সারওয়ারে কায়েনাত হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?
উত্তর: আমি আল্লাহ তায়ালাকে চিনতাম না। আল্লাহর কসম, তিনি আমাকে রাব্বে জুলজালালকে চিনিয়ে দিয়েছেন…......।
🟢 প্রশ্ন: ইসলামের সিপাহী হিসেবে আপনি দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশ্যে কি বাণী রাখতে চান। …. আপনার মতে মুসলমানদের কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর: এ ব্যাপারে নবীজি যা বলেছেন তার চেয়ে ভাল কিছু আর কে বলতে পারে? তিনি মুসলামনদেরকে এমন সোনার টুকরার সাথে তুলনা করেছেন কোন অবস্থায়ই যার ঔজ্জ্বল্য কমে না। আরেক জায়গায় তিনি মুসলমানদের তুলনা করেছেন মধুমক্কীকার সাথে, যা ফুলের উপর গিয়ে বসে, নোংরা জায়গায় বসে না। ফুল থেকে রস চুষে মধু বানায়, বিষ তৈরী করে না। আর তা সে নিজের জন্য নয়, অপরের জন্য তৈরী করে। সে ডালে বসে, সে ডালের কোন ক্ষতি করে না। অন্যত্র তিনি বলেছেন, মুসলমান সেই, যার হাত ও কথা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে ।
Frequently Asked Questions ( FAQ )
✅ প্রস্নঃ- ধর্মান্তরিত অর্থ কি ?
উত্তরঃ- ধর্মান্তর শব্দের বাংলা অর্থ হলো অন্য বা ভিন্ন ধর্ম। অন্য ধর্ম। ধর্মগ্রহণ নিজ ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ। আর ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া বলতে ইসলামকে একটি ধর্ম বা বিশ্বাস হিসাবে গ্রহণ করা এবং অন্য কোনও ধর্ম বা অধর্মকে প্রত্যাখ্যান করাকে বুঝায়।
✅ প্রস্নঃ- ইসলামের স্তম্ভ কি কি ?
উত্তরঃ- ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ হাদিস থেকে উল্লেখ করা হলো:
উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে বর্ণিতঃ- তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (মুহাম্মাদ) বলেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। যথা- আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, সলাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজব্রত সম্পাদন করা এবং রমজানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।
ইসলাম শুধু পাঁচটি স্তম্ভেই সীমাবদ্ধ নয়। এর পরিসর আরও ব্যাপক, বিস্তৃত।
আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা , সবক্ষেত্রেই ইসলাম আবশ্যক ভূমিকা পালন করে। পরিবারের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, গরিব-এতিমের সঙ্গে আচরণ, সমাজের একে অন্যের খোঁজখবর নেওয়া সব ক্ষেত্রেই, ইসলামের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ব্যক্তির আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা , কথার মাধুর্য সবখানেই ইসলামের গুরুত্ব ও প্রভাব রয়েছে ।
0 Comments