Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉

Chia Seeds খেলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হার্ট, হজম স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই Superfood এর জুড়ি মেলা ভার।

Chia Seeds খেলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হার্ট, হজম স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই Superfood এর জুড়ি মেলা ভার।
Health Benefits of Chia Seeds

চিয়া সিড (Chia seeds) হলো স্যালভিয়া হিসপানিকা (Salvia hispanica) গাছের বীজ। Chia is a member of Lamiaceae mint family র অন্তর্ভুক্ত । যা মূলত দক্ষিণ মেক্সিকো এবং গায়ে অঞ্চলে জন্মায়। এটি শস্য জাতীয় উদ্ভিদ যা মরুভূমিতেই বেশি জন্মায়।

জানা যায়, প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি রাখা হতো। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো অথবা তোকমাদানার মতো।

এই বীজগুলি ছোট, কালো বা সাদা রঙের এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। চিয়া সিডে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।

পানি বা দুধে ভিজিয়ে রাখলে এটি নরম ও পিচ্ছিল হয়। ভালোভাবে হজম করার জন্যই মূলত এটি ভিজিয়ে রাখতে হয়। চিয়া সিডকে সাধারণত সালাদ, স্মুদি, দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

এটি জল শোষণ করে এবং জেলির মতো একটি গঠন তৈরি করে, যা খাবারের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে এটি একটি জনপ্রিয় উপাদান।



Chia Seeds: ওজন ঝরাতে

চিয়া সিডকে সুপারফুড বলার কারন, এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। দুধ ডিমের থেকেও চিয়া সিডে বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।

নিয়মিত চিয়া সীড আপনাকে অনেকটা রক্তের সুগার লেভেল বৃদ্ধি হওয়া কমাতে সাহায্য করবে এবং হার্টকে রাখবে সুস্থ।

দৈনিক এক আউন্স চিয়া বীজ খেলে ১৮% কালসিয়ামের চাহিদা, ২৭% ফসফরাসের চাহিদা এবং ৩০% ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ হতে পারে।

শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ থেকে ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা চিয়া বীজের অনেক গুণ। পাশাপাশি বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে চিয়া সিড।


িয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ব্যবহার

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ব্যবহার - Superfood Chia Seeds:

বীজজাতীয় যেকোনো খাবার পুষ্টিকর, এবং এর মধ্যে চিয়া সিড বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই ধরনের খাবার শরীরে শক্তি জোগায় এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

এছাড়াও, এর মধ্যে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক। মিন্ট প্রজাতির পুষ্টিকর এই উদ্ভিদের বীজ শরীরে শক্তি জোগায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় নাম চিয়া সিড।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন,
  • ১. চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
  • ২. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে এই বীজ।
  • ৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • ৪. মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • ৫. ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমে যায় চিয়া সিড বীজ খেলে।
  • ৬. কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে তাই কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।
  • ৭. চিয়া সিড খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।
  • ওজন কমানোর জন্য হোক বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, আজকাল অনেকেই চিয়া সিডকে বেছে নিচ্ছেন। এই কালো-সাদা বীজ পুষ্টিতে ভরপুর। ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান রয়েছে, যে কারণে চিয়া সিডকে সুপারফুডও বলা হয়।

    চিয়া সিড খেলে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। এমনকি হার্ট, হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে চিয়া সিড।


    More Calcium Than Milk:
    বীজজাতীয় যেকোনো খাবারই পুষ্টিকর। এসবের মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। মিন্ট প্রজাতির পুষ্টিকর এই উদ্ভিদের বীজ শরীরে শক্তি জোগায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় নাম চিয়া সিড।

    স্থুলতা বা অতিরিক্ত ওজন ( Obesity or overweight ) চিয়া বীজ ঐতিহ্যগতভাবেই এই স্থুলতার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। স্থুলতা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুহার এবং অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। স্থুলতা উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং ডায়াবেটিসের মতো বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার একটি সাধারণ অগ্রদূত।

    স্থুলতা চর্বি জমে এবং এর ফলে শরীরে অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলির প্রসারণের সাথে জড়িত। চিয়া বীজে শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে যা এই ভেষজটির ওজন কমানোর জন্য দায়ী। এই উপাদানগুলি চর্বির ভাঙ্গনকে উৎসাহিত করে এবং শরীরে অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলির প্রসারণ রোধ করে।

    চিয়া বীজ স্থুলতার চিকিৎসায় উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি রোগীদের ওজন কমাতে এবং এর জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি বিপাককে প্রভাবিত করে এবং চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।

    চিয়া সিড খেলে শুধু ওবেসিটি ( Obesity or overweight ) ই নয়। ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। এমনকি হার্ট, হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে চিয়া সিড।

    কেউ চিয়া সিড শুধু পানি ভিজিয়ে খায়। আবার কেউ কেউ দুধ-দই দিয়ে স্মুদি, ওটমিল বানিয়েও খায়। সেই স্মুদি বা ওটমিলের মধ্যে আরও নানা উপাদান থাকে। কিন্তু সব ধরনের খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খাওয়া যায় না। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।


    দুধের থেকে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, ডিমের থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন! হিরের টুকরো এই বীজ ব্যাড কোলেস্টেরল ধুয়ে মুছে সাফ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়


    Chia Seeds –এর উপকারিতা

    Chia Seeds –এর উপকারিতা বা চিয়া সিডের প্রধান পুষ্টিগুণগুলো তুলে ধরা হল:

    চিয়া সিডে উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং প্রোটিন থাকায় যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী। কারন চিয়া সিড (Chia Seeds) একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাস্থ্যকর খাবার, যা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। চিয়া সিড আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে আপনি পেতে পারেন শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা।

     ১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস:

    চিয়া সিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রাকৃতিক উৎস, যা হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। ওমেগা-৩ স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে।

    ২. ফাইবার সমৃদ্ধ:

    চিয়া সিডে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ এটি ক্ষুধা কমায় এবং খাবার পরিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়, ফলে পেট বেশি সময় ভরতি থাকে।

    ৩. প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস:

    চিয়া সিডে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে, যা পেশি গঠনে সহায়ক। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের কোষ পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

    ৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

    চিয়া সিড শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করে এবং পেট দীর্ঘ সময় ভরতি রাখে। এর ফলে অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। এছাড়া এটি ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। কেননা মাত্র ২ চামচ চিয়া সিডে যে পরিমাণ ফাইবার থাকে, তা দিনের প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক।

    সকালের নাশতায় ২ চা–চামচ চিয়া সিড খেলে তা পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আপনার পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেবে। তা ছাড়া ১ চা–চামচ চিয়া সিড এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তা ১ গ্লাস পানিতে ১ চা–চামচ লেবুর রস ও ১ চা–চামচ মধুর সঙ্গে সকালে খালি পেটে খেলে মেদ পোড়াতেও সাহায্য করবে।

    ৫. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে:

    চিয়া সিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিত। এর উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট শরীরে গ্লুকোজের শোষণকে ধীর করে, ফলে রক্তের গ্লুকোজ স্তর হঠাৎ বাড়ে না।

    এছাড়াও, চিয়া সিড ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। নিয়মিত চিয়া সিড গ্রহণের ফলে শরীরের রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

    ৬. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

    চিয়া সিডে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কমিয়ে বয়সজনিত ছাপ কমায় এবং শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে সহায়ক।

    ৭. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে:

    চিয়া সিডে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে, যা হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে সহায়ক।মাত্র ১ আউন্স চিয়া সিডে ১৮০ মাইক্রোগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়া সিডের ম্যাগনেশিয়াম আর ফসফরাসও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। হাড় ছাড়াও অপটিমাল মাসল ও স্নায়ু ভালো রাখে চিয়া সিড। নিয়মিত চিয়া সিড গ্রহণ করলে হাড়ের ক্ষয়রোধ করা যায় এবং এটি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

    ৮. শক্তির উৎস:

    চিয়া সিড শক্তির একটি আদর্শ উৎস হিসেবে পরিচিত, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এতে উপস্থিত উচ্চমানের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, এবং ফাইবার শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। বিশেষ করে, চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি শরীরের সেলের কার্যক্রমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘমেয়াদী শক্তি প্রদান করে। এটি শরীরের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি অনুভব করতে সহায়তা করে।

    ৯. ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:

    চিয়া সিডের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের ছাপ কমায়। এটি ত্বককে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

    ১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:

    চিয়া সিডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া সিডে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি রক্তনালীতে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে।


    প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে রয়েছে:

    প্রতি ১০০ গ্রাম Superfood Chia Seeds এ রয়েছে:

    প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে সাধারণত যে পুষ্টিগুণগুলো পাওয়া যায়, তা হলো:

    1. ক্যালোরি: প্রায় ৪৮০ ক্যালোরি
    2. প্রোটিন: ১৬.৫ গ্রাম
    3. ফ্যাট: ৩০.৭ গ্রাম

      • এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট: ৩.৩ গ্রাম
      • মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ২.৩ গ্রাম
      • পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট (অন্তর্ভুক্ত: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড): ২৩.৭ গ্রাম

    4. কার্বোহাইড্রেট: ৪২.১ গ্রাম
      • এর মধ্যে ফাইবার: ৩৪.৪ গ্রাম
      • শর্করা: ০.৭ গ্রাম

    5. ভিটামিন ও মিনারেলস:
      • ভিটামিন C: ১.৬ মিলিগ্রাম
      • ভিটামিন E: ০.৫ মিলিগ্রাম
      • ভিটামিন B1 (থিয়ামিন): ০.৬ মিলিগ্রাম
      • ভিটামিন B2 (রিবোফ্লাভিন): ০.১৭ মিলিগ্রাম
      • ভিটামিন B3 (নিয়াসিন): ৮.৮ মিলিগ্রাম
      • ক্যালসিয়াম: ৫৮৪ মিলিগ্রাম
      • ম্যাগনেসিয়াম: ৩১০ মিলিগ্রাম
      • ফসফরাস: ২৭৭ মিলিগ্রাম
      • আয়রন: ৭.৭ মিলিগ্রাম
      • পটাসিয়াম: ৪৪৭ মিলিগ্রাম

    6. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: চিয়া সিডে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনলস থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।

    Chia Seed – চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:

    Chia Seed – চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:

    অনেকেই চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ বা এটি খাওয়ার নিয়ম জানেন না। যে কারণে এই সুপারফুডকে নিজের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছেন না। তাই চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে সঠিকভাবে খাওয়া ও নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু সহজ নিয়ম উল্লেখ করা হলো:


    ১. প্রতিদিন সকালে, সন্ধ্যায় বা দুবার খাওয়ার মাঝখানে চিয়া সিড খেতে পারেন। এটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

    ২. বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পর্যন্ত চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে। তবে, আপনি দিনে অন্তত ২ চামচ (১০ গ্রাম) খেলে মিলবে এর আশ্চর্য উপকার। এর ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সহজেই পাওয়া যাবে।

    ৩. সকালে খালি পেটে পানির সাথে গুলিয়ে খেতে পারেন। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে অথবা এক ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্মুদি, ফলের রস, ওটস বা সালাদের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়ার জন্য একটি চমৎকার উপায়। এটি খাদ্যের স্বাদ বাড়ায় এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।

    ৪. চিয়া সিডের স্বাদ খুবই হালকা, তাই এটি আপনার পছন্দের খাবার বা পানীয়ের সাথে সহজেই মিশিয়ে খেতে পারবেন।

    Hints: বিশেষজ্ঞদের মতে দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

    আর এই Superfood Chia Seeds পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।
    স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।


    যে কোন খাবারের সাথেই কি সিয়া সিড খাওয়া যাবে?

    যে কোন খাবারের সাথেই কি সিয়া সিড খাওয়া যাবে?

    সব ধরনের খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খাওয়া যায় না। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।

  • ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: বিনস, ডাল, বাদাম ও বেশ কিছু দানাশস্য রয়েছে, যার মধ্যে ফাইটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই ধরনের খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খেলে দেহে ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো পুষ্টি শোষণে বাধা তৈরি হতে পারে। চিয়া সিডের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে, তাই এমন কোনো খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড মেশাবেন না, যার মধ্যে এই উপাদান পাওয়া যায়।

  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: চিয়া সিডের মধ্যে উচ্চ মাত্রা ফাইবার পাওয়া যায়। ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে ১০ গ্রাম ফাইবার পাবেন। সুতরাং, আপনি যদি চিয়া সিড এমন কোনো খাবারে মিশিয়ে খান যার মধ্যেও ফাইবার রয়েছে, তা হলে বিপদ। অত্যধিক মাত্রায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হজম স্বাস্থ্যে গোলমাল দেখা দিতে পারে। ওটস, ডালিয়ার মতো খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড এড়িয়ে চলুন।

  • মিষ্টিজাতীয় খাবার: চিনি স্বাস্থ্যের জন্য বিষ। সুতরাং, যে ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তার সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়ার ভুল একেবারেই করবেন না। ডেজার্টের উপর চিয়া সিড ছড়ানোর আগে সাবধান।

  • Chia Seeds সম্পর্কে পুষ্টিবিদ এবং ডাক্তার

    বিআরবি হাসপাতাল লিমিটেডের ডায়েটেটিকস ডিপার্টমেন্টের প্রধান পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা স্মৃতি বলেন, 'চিয়া সিড একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার৷ এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, এতে আছে স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। তাই খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন চিয়া সিড রাখতে পারেন।'

    পুষ্টিবিদ রঞ্জন দাস এর মতে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
    ১) চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে। দিনে দুই চা চামচ চিয়া সিড শরীরের শক্তি দেয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    ২) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে।

    ৩) হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড দারুণ কাজ করে। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে কাজ করে বলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

    ৪) চিয়া সিড শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে। দূর করে অ্যাসিডিটির সমস্যা।

    ৫) চিয়া সিড ভাল ঘুম হতেও সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করেন চিকিৎসকরা। শুধু কি তাই! হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়। তাই প্রতিদিন খাবারে রাখুন চিয়া সিড।

    ৬) ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে চিয়া সিড

    ৭) এই বীজ ক্যানসার রোধ করে

    ৮) চিয়া সিড হজমে সহায়তা করে

    ৯) চিয়া বীজ হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে

    ১০) চিয়া সিড অ্যাটেনশান ডেফিসিট হাইপার-অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার দূর করে

    ১১) এটি ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে

    চিয়া সিড ( Chia Seeds ) সাধারণত শিশুদের জন্য কি নিরাপদ?

    চিয়া সিড সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ, তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

    চিয়া সিড সাধারণত চিয়া সিড সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ  এবং স্বাস্থ্যকর, তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছু ক্ষতিকর দিক থাকতে পারে তাই  কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

    যদিও  চিয়া সিড শিশু থেকে বয়স্ক সকল বয়সের মানুষের জন্য ভীষণ রকমের উপকারী। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। তবে বাচ্চাদের চিয়া* সিড খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে।
    কারণ এটি গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বাচ্চাদের খাবারের সাথে এই চিয়া সিড খাওয়াতে পারবেন। বাচ্চাদের খাওয়ার দুধের সাথে চিয়া সিড খাওয়াতে পারবেন। তবে এক বছর বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের না খাওয়ানোই উত্তম। 

    শিশুদের খাওয়ানর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়ঃ

    ১. বয়স: শিশুদের জন্য চিয়া সিড দেওয়ার আগে তাদের বয়স বিবেচনা করা উচিত। সাধারণত, ২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এটি নিরাপদ হতে পারে।

    ২.পরিমাণ: শিশুদের জন্য চিয়া সিডের পরিমাণ কম রাখতে হবে। অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে পেটের সমস্যা হতে পারে।

    ৩. পুষ্টি উপাদান: চিয়া সিড ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং আয়রন থাকে, যা শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য সহায়ক।

    ৪. প্রাথমিক পরিমাণ: প্রথমবার খাওয়ানোর সময় অল্প পরিমাণে শুরু করুন। শিশুর পাচন ক্ষমতা ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছে কি না দেখুন। প্রথমে একটু একটু খাওয়ান এবং পরে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

    ৫. অ্যালার্জির লক্ষণ দেখুন: যদি প্রথমবার খাওয়ানোর পরে শিশুর কোনো অ্যালার্জির লক্ষণ (যেমন র‍্যাশ, পেটে ব্যথা, বা বমি) দেখা দেয়, তবে খাওয়ানো বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

    চিয়া সিড ( Chia Seeds ) এ ক্ষতিকর (Side Effects) দিক আছে কি ?

    প্রত্যেকটি জিনিস বা কাজেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, এবং এটি স্বাভাবিক। জীবনে আমরা যা কিছু করি বা ব্যবহার করি, তার কিছু সুফল থাকে, তেমনি কিছু ক্ষতিকর বা অপ্রত্যাশিত প্রভাবও থাকতে পারে। এটি প্রাকৃতিক এবং মানবিক সত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    অতএব, প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপের আগে তার সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিগুণের জন্য চিয়া সিডকে সুপারফুড বলা হয় এই সত্যটা জেনে যারা- চিয়া সিডের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছেন তার আগে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। তাই নিন্মোক্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

    • অতিরিক্ত খাওয়া: চিয়াবীজ খেলে পানি খাওয়ার পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। এটি অতিরিক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, তাই বেশি খেলে অনেক সময় প্রেশার লো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার চিয়া সিডে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা, যেমন গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে।

    • জল শোষণ: চিয়া সিড জল শোষণ করে এবং জেলির মতো গঠন তৈরি করে। যদি এগুলো যথেষ্ট জল না পান করা হয়, তবে এটি পেটের মধ্যে ফুলে যেতে পারে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

    • অ্যালার্জি: কিছু মানুষের চিয়া সিডের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা চুলকানি, র্যাশ বা অন্যান্য অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাঁদের তিল বা সর্ষের বীজে অ্যালার্জি থাকলে তাঁদের চিয়া সিড এড়িয়ে চলাই ভাল।

    • ওমেগা-৩ এর প্রভাব:চিয়া বীজ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যখন অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিনের মতো রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান কারন চিয়া বীজ রক্ত পাতলা করে দেয়। এর জেরে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। যাঁদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এই চিয়া সিড এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তাই যারা রক্তের ঘনত্ব কমানোর জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করছেন, তাদের জন্য চিয়া সিড অতিরিক্ত হতে পারে। তখন এই চিয়া সিড এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

    • সতর্কতা: রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধের সঙ্গে চিয়া সিড খাবেন না। এছাড়া যদি অন্য কোনও রোগ থাকে, তাহলে চিয়া সিড এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। এতে স্বাস্থ্যের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। যদি আপনি কোনো মেডিকেল কন্ডিশনে ভুগছেন বা বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাহলে চিয়া সিড খাওয়ার আগে প্রয়োজনে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিয়া সিড খান।
     


    সঠিক পরিমাণে খেলে চিয়া সিডের উপকারিতা বেশি

    পরিশেষে Chia Seeds

    সিডস একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। পুষ্টিবিদরাও বলছেন দেখতে ছোটো হলেও গুণে-মানে একেবারেই কম নয় এই চিয়া সিডস।

    সাধারণত, সঠিক পরিমাণে খেলে চিয়া সিডের উপকারিতা বেশি, তবে যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা আপনি নতুন কিছু চেষ্টা করছেন, তাই বুঝেশুনে এবং সীমিত পরিমাণে চিয়া সিড খান। প্রয়োজনে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।



    FAQ ( Frequently Asked Questions ) প্রশ্নঃ উত্তরঃ :

    উত্তরঃ ▷সাধারণত খাওয়ার পরে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তবে চিয়া বিজ সেই শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এই বীজ বেশ উপকারী। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসে ভরপুর চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

    উত্তরঃ ▷জলে চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। এটাই চিয়া সিড খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়। এক গ্লাস পানি ১-২ চামচ চিয়া সিড ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা পান করুন। চিয়া বীজের সঠিক পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা এবং আপনার জিআই সিস্টেমের গতির উপর নির্ভর করে।

    উত্তর ▷মিশ্রণটি একটি এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং সূর্যের আলো থেকে দূরে একটি শীতল, শুষ্ক জায়গায় রাখুন। প্রতিদিন 1/2 চামচ বীজ খান। এই বীজগুলি ওমেগা 3-এর একটি ভাল উত্স - হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।





    ✅ আশা করি,
    এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের




    follow দিয়ে রাখুন । অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।



    Post a Comment

    0 Comments