Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉

পবিত্র কোরআনে নবীদের নাম ও তাদের আগমনের দেশ | prophets-names-and-their-countries

পবিত্র কোরআনে নবীদের নাম ও তাদের আগমনের দেশ | prophets-names-and-their-countries
পবিত্র কোরআনে নবীদের নাম ও তাদের আগমনের দেশ | আদম আ: থেকে মুহাম্মদ সা: পর্যন্ত

আদম আ: থেকে মুহাম্মদ সা: পর্যন্ত নবীদের নাম ( prophets-names-and-their-countries )

পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাঁদের ভেতর ২৫ জনের নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ১৮ জনের নাম সুরা আনআমের ৮৩ থেকে ৮৬ নম্বর আয়াতে একত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং বাকিদের নাম অন্যত্র এসেছে। প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে নবী আগমনের ধারা শুরু হয় এবং তা শেষ হয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মাধ্যমে। নবী-রাসুলদের ইতিহাস-আশ্রিত ধারাক্রম রয়েছে,

আজকের পোস্টে আমরা পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত ২৫ জন নবীর নাম, তাদের আগমনের দেশ এবং নবীদের সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবো। কোরআনে অনেক নবীর বর্ণনা পাওয়া যায়, তবে কিছু নবী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এবং কিছু নবী সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।

যুগে ‍যুগে মহান আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য নবী-রাসূল এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব রাসূল পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে কিছু রাসূল সম্পর্কে কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে এবং কিছু রাসূলের বর্ণনা সরাসরি কোরআনে দেয়া হয়নি।

“কিছু রাসূলদের (সম্বন্ধে) তোমার কাছে বর্ণনা করলাম এবং কিছু রাসূলদের কথা বর্ণনা করলাম না।”

– সূরাঃ নিসা ১৬৩

মানুষ যখন আল্লাহ তা’আলার পথ হতে বিমুখে চলে যায়, আল্লাহ তা’আলা তখন তাদের জন্য বিভিন্ন নবী রাসূল পাঠিয়েছেন। প্রায় পৃথিবীতে আসা প্রত্যেকটা জাতির জন্য আল্লাহ তা’আলা নতুন নতুন নবী রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। এই ব্যাপারে আমাদের অবগত করার জন্য আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন

” এবং আমি নিশ্চয়ই প্রত্যেক জাতির কাছে রাসূল প্রেরণ করেছি “

– সূরা নাহল ৩৬


আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী ১ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন ছিলেন রাসুল আর বাকিরা নবী। যারা রাসুল তারা নবীও, আর যারা নবী তারা শুধু নবী।

আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ছিলেন প্রথম প্রেরিত রাসুল এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ প্রেরিত রাসুল।
Web Tech Info! 👉

© prophets-names-and-their-countries



নবীদের তালিকা ও তাদের আগমনের দেশ

প্রত্যেক মুসলিমের উচিত, তার জীবনকালে অন্তত একবার কোরআনে উল্লেখিত নবী-রাসূলদের নামগুলো পড়া। সেই প্রেক্ষিতেই আজকের নবীদের নামের তালিকাযুক্ত পোস্টটি। আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে চলুন নবীদের নামের তালিকা মনোযোগ সহকারে পড়া যাক।

এখানে পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত ২৫ জন নবীর নাম এবং তাদের আগমনের দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো।

ক্রমিক নবীর নাম সুরা আয়াত অবস্থান/দেশ
হযরত আদম (আঃ) বাকারা ৩১ জন্নাত
হযরত ইদরিস (আঃ) মারইয়াম ৫৬ মিসর
হযরত নূহ (আঃ) নিসা ১৬৩ ইরাক
হযরত হুদ (আঃ) হুদ ৫০ আরব
হযরত সালেহ (আঃ) আরাফ ৭৩ আরব
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বাকারা ১৩৬ বাবিল (ইরাক)
হযরত লুত (আঃ) হুদ ৭০ সোদুম (প্যালেস্টাইন)
হযরত ইসমাইল (আঃ) বাকারা ১৩৬ মক্কা
হযরত ইসহাক (আঃ) বাকারা ১৩৬ বাবিল
১০ হযরত ইয়াকুব (আঃ) বাকারা ১৩৬ ইসরাইল
১১ হযরত ইউসুফ (আঃ) আন আম ৮৪ মিসর
১২ হযরত শুয়াইব (আঃ) আরাফ ৯০ মাদিয়ান
১৩ হযরত আয়ুব (আঃ) নিসা ১৬৩ উর্দ
১৪ হযরত যুলকিফল (আঃ) আম্বিয়া ৮৫ ইসরাইল
১৫ হযরত মূসা (আঃ) বাকারা ৫১ মিসর
১৬ হযরত হারুন (আঃ) বাকারা ২৪৮ মিসর
১৭ হযরত দাউদ (আঃ) বাকারা ২৫১ ইসরাইল
১৮ হযরত সুলাইমান (আঃ) বাকারা ১০২ ইসরাইল
১৯ হযরত ইলিয়াস (আঃ) আনআম ৮৫ ইসরাইল
২০ হযরত আল ইয়াসা (আঃ) আনআম ৮৬ ইসরাইল
২১ হযরত ইউনুস (আঃ) নিসা ১৬৩ নিনেভা (ইরাক)
২২ হযরত জাকারিয়া (আঃ) আনআম ৮৫ ইসরাইল
২৩ হযরত ইয়াহয়া (আঃ) ইমরান ৩৯ ইসরাইল
২৪ হযরত ঈসা (আঃ) বাকারা ৮৭ প্যালেস্টাইন
২৫ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইমরান ১৪৪ মক্কা, মদিনা

এই পোস্টে পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত ২৫ জন নবীর নাম এবং তাদের আগমনের স্থান সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। আরো ইসলামিক শিক্ষা এবং নবী-রাসূল সম্পর্কে জানতে আমাদের ব্লগে ভিজিট করুন।



FAQ ( Frequently Asked Questions ) প্রশ্নঃ উত্তরঃ :

🟢 উত্তর ▷
ইসলাম ধর্মে, রাসুল (আরবি: رسول রাসুল্‌ “বার্তাবাহক”, বহুবচন রুসুল) হলেন আল্লাহ্‌ প্রেরিত বার্তাবাহী ব্যক্তিত্ব। রাসুল বলতে তাদেরকেই বোঝানো হয় যারা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কিতাব বা পুস্তক প্রাপ্ত হয়েছেন। হাদিস সহ অন্যান্য ইসলামী বইয়ে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবির কথা বলা হয়েছে।


🟢 উত্তরঃ ▷✅ নবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্টীয় ৫৭০ সালে। এর মাত্র ৫০ বছর পর ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আসে ইসলাম। অর্থাৎ বাংলাদেশে ইসলাম আগমনের ইতিহাস প্রায় ১,৩০০ বছরেরও অধিক পুরনো। অন্য একটি বর্ণনায় ইসলাম বাংলাদেশে প্রথম আসে ৭৩৬ খ্রিষ্টাব্দে, যখন আরব সেনাপতি হাসান বিন কব্বাহের নেতৃত্বে একটি মুসলিম বাহিনী বঙ্গ অঞ্চলে আক্রমণ করে।

তবে, ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয় পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে, যখন মধ্যযুগীয় মুসলিম শাসকরা যেমন গজনবী, পাল, এবং মোঙ্গলরা বঙ্গভূমিতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

এছাড়া, ইসলাম বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ১৪শ' থেকে ১৬শ' শতকে, যখন সুলতানদের শাসনামলে এবং পরে মুঘল শাসনামলে ইসলাম দ্রুত প্রসার লাভ করে। মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে বাংলার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠে।

এভাবে, কয়েক শতাব্দীর মধ্যে ইসলাম বাংলাদেশে একটি বড় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।🔥😊


🟢 উত্তর ▷✅ ইসলাম ধর্মে, রাসুল (আরবি: رسول রাসুল্‌ “বার্তাবাহক”, বহুবচন রুসুল) হলেন আল্লাহ্‌ প্রেরিত বার্তাবাহী ব্যক্তিত্ব। রাসুল বলতে তাদেরকেই বোঝানো হয় যারা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কিতাব বা পুস্তক প্রাপ্ত হয়েছেন।

ইসলামী ধর্ম অনুযায়ী, পৃথিবীতে মোট ১২৪,০০০ (এক লক্ষ চব্বিশ হাজার) নবী এসেছেন। তবে, কোরআনে কেবল ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই নবীদের মধ্যে আদি, নূহ (নোয়া), ইবরাহিম (আব্রাহাম), মুসা (মোশি), ঈসা (যীশু), এবং মুহাম্মদ (সাঃ) অন্যতম। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে, এই নবীরা আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছেন। প্রতিটি নবী তার নিজের যুগের মানুষের জন্য আল্লাহর নির্দেশনা ও ধর্ম প্রচার করেছেন। এছাড়া, কিছু নবীর নাম এবং ঘটনা কোরআনে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলেও, অন্যান্য নবীদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য কম।


🟢 উত্তরঃ ▷✅ পবিত্র ইসলামের ইতিহাসে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মোট ১১ জন স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন। তবে, এই ১১ জনের মধ্যে কিছু স্ত্রীর নাম উল্লেখযোগ্য, যাদের সঙ্গেই নবীজির সবচেয়ে পরিচিত সম্পর্ক ছিল। তাঁদের নাম হলো:

১. খদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির প্রথম স্ত্রী, যিনি তাঁর জীবদ্দশায় একমাত্র স্ত্রী ছিলেন। খদিজা ছিলেন একজন বড় ব্যবসায়ী এবং নবীজির প্রথম সহায়িকা ও সমর্থক।

২. সাওদা বিনতে জাম'আ (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - খদিজার মৃত্যুর পর নবীজির দ্বিতীয় স্ত্রী।

৩. আয়িশা বিনতে আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির তৃতীয় স্ত্রী, যিনি নবীজির সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীরূপে পরিচিত। তিনি অত্যন্ত শিক্ষিত এবং ইসলামিক আইন ও হাদিস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

৪. হাফসা বিনতে উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির চতুর্থ স্ত্রী, যিনি উমর ইবন আল-খাত্তাবের কন্যা ছিলেন।

৫. জাইনবাহ বিনতে খুজাইমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির পঞ্চম স্ত্রী, যিনি "আমির আল-মুমিনিন" (মুমিনদের মা) নামে পরিচিত ছিলেন।

৬. উম সালমা (হিন্দা বিনতে আবু উমাইয়া) (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির ষষ্ঠ স্ত্রী, তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং অভিজ্ঞ নারী ছিলেন।

৭. যাইনবাহ বিনতে জাহশ (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির সপ্তম স্ত্রী, যিনি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আত্মীয় ছিলেন এবং ইসলামে তাঁর স্ত্রিত্ব একটি বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্ব রাখে।

৮. জুওইরিয়াহ বিনতে হের্থ (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির অষ্টম স্ত্রী, যিনি এক যুদ্ধের পর মুসলিমরা বন্দী হিসেবে পেলে নবীজির সঙ্গে বিবাহিত হন।

৯. রমলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির নবম স্ত্রী, যিনি উম্মে হাবিবা নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মক্কার এক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য ছিলেন।

১০. সাফিয়াহ বিনতে হুয়াই (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির দশম স্ত্রী, যিনি একজন ইহুদি পরিবারের সদস্য ছিলেন।

১১. মায়মুনাহ বিনতে হারিস (রাদিয়াল্লাহু আনহা) - নবীজির একাদশ এবং শেষ স্ত্রী, যিনি একজন বিধবা ছিলেন এবং তিনি নবীজির শেষ স্ত্রীরূপে বিবেচিত।

এই স্ত্রীরা নবীজির ব্যক্তিগত জীবনের অংশ ছিলেন, এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব ছিল।







✅ আশা করি,
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের




follow দিয়ে রাখুন । অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।


𝕂𝕚𝕟𝕕𝕝𝕪 𝕃𝕚𝕜𝕖 / 𝔽𝕠𝕝𝕝𝕠𝕨 𝕆𝕦𝕣 ℙ𝕒𝕘𝕖 𝕥𝕠 𝕜𝕖𝕖𝕡 𝕦𝕡𝕕𝕒𝕥𝕖𝕕  


    "শিক্ষা ও জ্ঞান সেই আলো, যা যত ছড়িয়ে পড়ে, পৃথিবী তত আলোকিত হয়।"
(Education and knowledge are the lights that illuminate the world as they spread.)

Post a Comment

0 Comments